কালো ছায়া আজও
আব্দুল মান্নান মল্লিক
রমন?
শৈশব কালের বন্ধুত্বের বন্ধন।
এক পদে চলতাম দোহে
বন্ধনের মোহে।
বৈশাখী অমাবশ্যার কালো রাত্রি, গোটা পৃথিবী গেছে ঢাকি।
রাত আটটার পরে, হয়েছিল বৃষ্টি অঝোরে।
প্রায় ঘন্টার পরে, থমকে গেল বৃষ্টি।
তারপর?
ভয়ংকর সেই রাত্রি, মেঘেদের দাদাগিরি।
সঙ্গে নিয়ে যেন গুলি বারুদের বোঝা, নীল আঙিনায় অবাধে ঘোরাফেরা।
উঁচুনিচু গর্জনে মেঘেদের ডাক।
চোখ ধাঁধাঁনো আগুনের গোলা, বারংরার করিছে পৃথিবীর বুকে আঘাত।
তখনো বসিয়া বারান্দায়,
আকাশের তান্ডব, ভয়েতে হইতো প্রাণ যায়।
ডাকিছে কে যেন, প্রাচীরের ওপারে
রমনীর কন্ঠস্বর বিদঘুটে ভয়াবহ অন্ধকারে।
কি জানি কে হবে, ডাকিছে যেন ভীতির সঞ্চারে
চেনা যেন কন্ঠস্বরে।
তখন রাত্রি হয়তো দশটা -।
সঙ্গী ছিল শুধু টর্চটা।
কিছু ভয় কিছু সাহসে, ক্ষণপদে এগিয়ে যায় সেথা।
টর্চের আলো ফেলতেই দেখি,
রমনের ছোট ভাই সাথে
নিভা হ্যারিকেন হাতে।
কাকিমা একি! এতো --
হাঁ বাবা এতো রাত হল, তবুও দুর্যোগ।
ফেরেনি বাড়িতে রমন,
থামেনা কাকিমার ক্রন্দন।
শুনিবারে বিকলে দেহ
কাকিমারে বুঝাইয়া পাঠায় বাড়ি, সঙ্গে নাই আর কেহ।
খুজিয়া সারাটা গ্রাম,
আরও খুজেছি মাঠ, ঘাট।
রাত দুটোর পরে,
ফিরে আসি ঘরে।
ঘুম ভাঙতেই সকালের বেলায়,
পাড়াতে হৈচৈ।
রাস্তায় নামিয়া দেখি, মানুষের আনাগোনা
জিগায় যদিবা কারো, বলিছে যায়না চেনা।
হাঁসিয়া যায় সবে
ফিরিছে মলিন মুখে।
কোথাকার ঘটনা,
বলে কেবল, তাও জানিনা।
তর সহেনা মনে, ছুটিয়া যায় নিজে
দূরেতে মানুষের ভীড় রয়েছে জমে।
হাড়ভাঙার সেই মাঠে।
ভীড় ঠেলিয়া ঢুকি
শুয়ে আছে কে যেন রক্তিম চাদরে ঢাকি।
বুঝিতে রইলনা আর বাকি
চাদর চিনিছে মোর দুই আঁখি।
তবুও চাদর সরায়ে মুখটি দেখি
এবারে উত্তরিবো কাকিমারে কি?
সম্পুর্ণটা কাল্পনিক ঘটনা
আব্দুল মান্নান মল্লিক
রমন?
শৈশব কালের বন্ধুত্বের বন্ধন।
এক পদে চলতাম দোহে
বন্ধনের মোহে।
বৈশাখী অমাবশ্যার কালো রাত্রি, গোটা পৃথিবী গেছে ঢাকি।
রাত আটটার পরে, হয়েছিল বৃষ্টি অঝোরে।
প্রায় ঘন্টার পরে, থমকে গেল বৃষ্টি।
তারপর?
ভয়ংকর সেই রাত্রি, মেঘেদের দাদাগিরি।
সঙ্গে নিয়ে যেন গুলি বারুদের বোঝা, নীল আঙিনায় অবাধে ঘোরাফেরা।
উঁচুনিচু গর্জনে মেঘেদের ডাক।
চোখ ধাঁধাঁনো আগুনের গোলা, বারংরার করিছে পৃথিবীর বুকে আঘাত।
তখনো বসিয়া বারান্দায়,
আকাশের তান্ডব, ভয়েতে হইতো প্রাণ যায়।
ডাকিছে কে যেন, প্রাচীরের ওপারে
রমনীর কন্ঠস্বর বিদঘুটে ভয়াবহ অন্ধকারে।
কি জানি কে হবে, ডাকিছে যেন ভীতির সঞ্চারে
চেনা যেন কন্ঠস্বরে।
তখন রাত্রি হয়তো দশটা -।
সঙ্গী ছিল শুধু টর্চটা।
কিছু ভয় কিছু সাহসে, ক্ষণপদে এগিয়ে যায় সেথা।
টর্চের আলো ফেলতেই দেখি,
রমনের ছোট ভাই সাথে
নিভা হ্যারিকেন হাতে।
কাকিমা একি! এতো --
হাঁ বাবা এতো রাত হল, তবুও দুর্যোগ।
ফেরেনি বাড়িতে রমন,
থামেনা কাকিমার ক্রন্দন।
শুনিবারে বিকলে দেহ
কাকিমারে বুঝাইয়া পাঠায় বাড়ি, সঙ্গে নাই আর কেহ।
খুজিয়া সারাটা গ্রাম,
আরও খুজেছি মাঠ, ঘাট।
রাত দুটোর পরে,
ফিরে আসি ঘরে।
ঘুম ভাঙতেই সকালের বেলায়,
পাড়াতে হৈচৈ।
রাস্তায় নামিয়া দেখি, মানুষের আনাগোনা
জিগায় যদিবা কারো, বলিছে যায়না চেনা।
হাঁসিয়া যায় সবে
ফিরিছে মলিন মুখে।
কোথাকার ঘটনা,
বলে কেবল, তাও জানিনা।
তর সহেনা মনে, ছুটিয়া যায় নিজে
দূরেতে মানুষের ভীড় রয়েছে জমে।
হাড়ভাঙার সেই মাঠে।
ভীড় ঠেলিয়া ঢুকি
শুয়ে আছে কে যেন রক্তিম চাদরে ঢাকি।
বুঝিতে রইলনা আর বাকি
চাদর চিনিছে মোর দুই আঁখি।
তবুও চাদর সরায়ে মুখটি দেখি
এবারে উত্তরিবো কাকিমারে কি?
সম্পুর্ণটা কাল্পনিক ঘটনা
No comments:
Post a Comment