Saturday, 30 May 2015

বর্ষা

বর্ষা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

সারাদিন দাঁড়িয়ে চুপ বারান্দায় একা,
তবু পায়নি এক ঝলক সূর্যের দেখা।
গগন মেলেছে কালো শাড়ির আঁচল,
অনবকাশে ক্ষরিত হয় বৃষ্টির জল। 
ঝিপ ঝিপ বৃষ্টি পড়ে সারা বেলা ধরে, 
কেউ বসে বারান্দায় কেউ বসে ঘরে। 
রাস্তায় ভিজে কেউ চাষী ভিজে মাঠে, 
সারিতে বসে হাঁস শান বাঁধানো ঘাটে। 
জলমগ্ন সারা মাঠ ঢিবিতে ব্যাঙ ডাকে, 
বৃষ্টিয় ভিজে চাতক উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে। 
সারস সারসি ভিজে পাড়ে বৃক্ষ ডালে, 
পানকৌড়ি ডুবে ওঠে পুকুরের জলে। 
ঝিমরিয়ে বসে যত বাঁশবাগানের পাখি, 
কুঞ্জবনে লুকিয়ে ডাকে ডাহুক ডাহুকী। 
পুকুরের পাড়ে ছিলো ঝুলন্ত তালগাছ, 
পড়ে যায় পুকুর জলে ছুটে পালায় মাছ। 
নুয়ে পড়ে মাধবীলতা বৃষ্টি ভিজা জলে, 
ভ্রমর উড়েনা ফুলে ভিজেনা বৃষ্টিজলে।


রশ্মির বক্ররেখা

রশ্মির বক্ররেখা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

বসে আছি একাকী, রাত জাগারণে, 
লিখিতে বসি কাব্য, পড়েনা কিছু মনে। 
ধ্যাত কি-যে ছাই, পাইনা ভেবে কথা, 
বৃথাই বুলায় কলম, ছিঁড়ে খাতার পাতা। 
ছন্দের কথাগুলো, ভুলেছি বারবার, 
যেনতেন ভাবে সারি, গদ্য কাব্য সার। 
রূপান্তরের কথায় যদি, গদ্য কাব্য হয়, 
ব্যাঙ তবে হয় কুমীর, লেজের সমন্বয়। 
সোজা পথ দূর ভাল, বাঁকা কখনো নয়, 
ভুলে গেছি কখন যেন, সোজা পথ কই? 
গরুর রচনা লিখতে, লিখে যায় নদী, 
ভুলেছি নদী যখন, লিখি ব্যাঙের সর্দি। 
ছন্দের কাব্য কথা, শুনে মানুষ যদি, 
কিছুটাও ভাববে তারা, বসে নিরবধি।

Friday, 29 May 2015

অন্তরালে

অন্তরালে

আব্দুল মান্নান মল্লিক

খুজেছ বনে বাদাড়ে
কখনো খুজেছ নদীর তীরে
দেখা তবু পাওনা আমারে,
এইতো আমি সেই তোমারই ঘরে।
কখনো নির্জন শ্মশানে
খুজেছ ভুবনের চতুরকোণে
কেন খুজ বিহ্বল অঘোরে,
এইতো আমি সেই তোমারই ঘরে।
করেছি কত চিৎকার
ডেকেছি পিছনে বারবার
তবু সাড়া দাওনি মোরে,
এইতো আমি সেই তোমারই ঘরে।
পরিস্কার রাখিও সদা
দুুর কর অন্ধকারের পর্দা
খুলে রাখ নয়ন অন্তরে,
এইতো আমি সেই তোমারই ঘরে।
নয়ন দেখেনি কখনো
নিজ রূপের আকার এখনো
পাশে থেকে খুজে শতবারে,
এইতো আমি সেই তোমারই ঘরে।

Thursday, 28 May 2015

শুনতে পাও তুমিও

শুনতে পাও তুমিও

আব্দুল মান্নান মল্লিক

শুনেছি বারংবার বাতাসের আর্তনাদ,
এসেছিল গেছে ফিরে ক্রন্দনে উন্মাদ।
ফিরেছে কতজন আসিতে মাঝপথে,
কেউবা গেছে ফিরে নিরবে রাতে।
ঘুর্ণন গতির অকাতরে বাতাসে কেহ,
ধরাতে নামিতে কারো অপেক্ষায় দেহ।
আসিয়া যায় কতজন শূণ্যের মাঝে,
সমারোহে যায় কেহ দিনান্তের সাঁঝে।
ভাসে নাভিতলে কুঁড়ি পদ্মের আকার,
অগণিত বিলীনে যায় হইয়া সমাহার।
বাতাসের সাথে তারা বানাই খেলাঘর,
নির্বাকে ভেসে বেড়াই অনলে অন্তর।
গাড়ি ঘোড়া চলে কত ভুবনের পথে,
যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে ঐ পথের সাথে।
শুনেছি বারংবার বাতাসের আর্তনাদ,
দাঁড়াতে সাহস কার করিবে ফরিয়াদ।

শিখার প্রেম

শিখার প্রেম

আব্দুল মান্নান মল্লিক

প্রাতকালে ভাঙে ঘুম দ্বার খুলে দেখি,
বিলম্বে দাঁড়িয়ে শিখা, প্রেমিকা একি?
সোনালি শাড়িতে শিখা শীতলের মন.
চৌকাঠ পেরিয়ে দুজন করি আলিঙ্গন।
উষ্ণতার চুম্বন দিল আমার সারা গায়,
শীতের প্রভাতকালে নিজেকে হারায়।
শাড়ির রঙের ছোঁয়া হিমে ভিজা ঘাস,
শোভিত শাড়ি রঙে সোনালি আভাস।
দেহতাপে শিখা মৌন যায় বহিয়া লগ্ন,
প্রেমানলে পুড়ে দেহ তবুও আছি মগ্ন।
খেলাঘরে সারাদিন প্রেম প্রেম খেলা,
প্রেমানল হয়ে শীতল লগ্ন বারবেলা।
সোনালি পর্দায় শিখা নিজেকে হারায়,
খেলা ঘর ভেঙে যায় দিনান্তের বেলায়।

Tuesday, 26 May 2015

এক পলকের দেখা

এক পলকের দেখা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

বাঁকা চোখের চাওনি দিয়ে,
মন কেড়েছ মোর।
তাইতো ভাবি তোমায় নিয়ে,
বাঁধবো ছোট্ট ঘর।
আলতা লেপন পায়ের গড়ন,
রঙিন পায়ে লাল।
গোলাপ বর্ণ ঠোঁটের শোভন,
ললিত ললিত গাল।
নীলচে রঙের কেশগুলি সব,
ছুঁয়ে আছে কপাল।
রঙের বাহার গায়ের সৌরভ,
তাইতো হৃদয় মাতাল।
স্পৃহার বসে কখনো একবার,
টানব শাড়ির আঁচল।
আসে আসুক কলঙ্ক আমার,
বলুক লোকে পাগল।
ইশারা নহিলে ফুলের উপর,
ভ্রমর কখনো বসে?
ডাকলে কেন বাজিয়ে নুপুর,
আমি পড়ি দোষে!

Saturday, 23 May 2015

ওপরের ডাক


স্বরচিত কবিতা

ওপারের ডাক

অতীতের সৃতিগুলো মিলিয়ে যত,
সম্মুখের পথ ভারী উজানের মতো।
কতদূরে হবে শেষ জানিনা তা কখন,
বাধা হয়ে রয়ে পথে পাহাড়ের মতন।
ঐ যেন শোনা যায় পাহাড় পেরিয়ে,
হাঁক পাড়ে ডাকে মোরে ইশারা দিয়ে।
ভাবিলে দেখিতে এক কালো পাহাড়,
আচ্ছাদিত হব যখন চতুর্দিক আঁধার।
পিছনের সৃতিগুলো আসিবে ফিরে,
খোলা দ্বারে দেখি শুধু পাহাড় পারে।
গবাক্ষের জোড়া পর্দা বন্ধ চিরতরে,
হারিয়ে যাব তথা সবার অগোচরে।
কোমল সৃজনে পুষ্প শক্তির অধিকার,
পুষ্পের সিদ্ধ জীবন সহিসে দেবতার
করিতে পারিনি কিছু এহেন জীবনে,
রয়ে যায় খালি হাত হারিয়ে ভূবনে।
পাথর গলিয়ে গেলো পুষ্পের তাপে,
নিস্পাপ ছিলো পুষ্প আমি ডুবি পাপে।

Tuesday, 19 May 2015

অন্তরঙ্গ

অন্তরঙ্গ

আব্দুল মান্নান মল্লিক

তোমাদের সুখী করতে দেহ প্রাণ মন,
বিলিয়ে দিলাম নইলে বৃথাই জীবন।
তোমাদের ভালবাসা অন্তরের মাঝে,
জ্বলিবে প্রদীপ হয়ে দিবসে ও সাঁঝে।
কবিতা নহে মোর আবদ্ধের প্রতিজ্ঞা,
যেখানে রাখিবে রব করোনা অবজ্ঞা।
ছড়ানো ছিটানো শুকনো ফুলের মালা,
গাঁথিয়া দিলাম হাতে করনা অবহেলা!
সুতোবিহীন মালা দিয়ে চাই ভালবাসা,
ভুলিবেনা দাও বচন এইতো প্রত্যাশা।
ভাল যদি নাইবা বাস ফেলে দিও জলে,
শীতলেতে রবে আত্মা যাবেনা বিফলে!
বীজ দানা পড়ে থাকে মাটির অভ্যন্তর,
জলের ছোঁয়ায় একদিন উদিবে পুনর!

Sunday, 17 May 2015

অশ্রুজল হৃদয় অনল

অশ্রুজল হৃদয় অনল

আব্দুল মান্নান মল্লিক

ফেলবোনা কোনদিন চোখের জল আর
তোমারে দিলাম কথা করি অঙ্গিকার।
স্বর্গের রাস্তা তোমার হয়না যেন পিছল
ধরে রাখি চোখের জল হৃদয়ে অনল।
অভিমান করবনা আর তোমার উপর
ভুলে যেতে চাই আমি তোমার আদর।
শিশুকালে অশ্রুজলে ভেসেছি যতবার
মুছিয়ে কোলে তুলে কেঁদেছ কতবার.।
অন্ধকারে নিদ্রায় মোর তুমি ছিলে বাতি
হারিয়ে যায় নিদ্রা জাগি সারা রাতি।
ক্রন্দনের ধারাবাহিক সারাটা জীবন
গাঙবাঁধ ভেঙে যায় পুড়ে ছাই মন।
হতে পারে ফটা জল, অনেক তার দাম
এক সাগর জল কভু হতে পারে সমান?
সাত পাঁচ ভেবে দেখি সবকিছু মিছে
স্বপ্নের চিত্রালী যত ফেলে দিই পিছে।
রংধনুর রং কাড়ি ছিলো অনেক আশা
বিন্দুজলে ভিজে হাত মেটেনা পিপাসা।
ঘড়ির কাঁটায় ঘুরে আজব সারা দেশটা
জলমগ্ন হয়ে আমি মেটেনা কেন তেষ্টা।

স্বর্ণ রঙে পাকা ধানে


স্বরচিত কবিতা

স্বর্ণ রঙে পাকা ধানে

শিশির ভেজায় হেলে পড়ে যায়
ঘাসফুল যত মাটির উপর।
কাস্তে হাতে সিক্ত পান্তাভাতে
গাত্রে টানা শীতের চাদর।
কাটিতে ধান কাঁপা কাঁপা গান
গাহিয়া গমনে চাষী মাঠে।
শোভিত আছে স্বর্ণিত ধান গাছে
স্বর্ণ দানা গাছের মাথে।
সাজায়ে ঝুড়ি আঁখু গুড়ের ঝুরি
খড়-ধানে বেচিছে বুঁচন।
গুটিগুটি পায়ে ধান কুড়ানি মেয়ে
ডালা হাতে মাঠে দুইজন।
নিয়েছে কানাই ধান বোঝা মাথায়
তুলে দেয় সাধন, রতন।
পেলে আঁখুগুড় খায় কানাই প্রচুর
বারো রুটি বারেক অদন।
কানু গাড়োয়ান গাড়ি বোঝায় ধান
হাঁকিয়া ফিরিছে স্বীয় ঘর।
শালিকের ঝাঁক কিচির-মিচির ডাক
ঝগড়া করে আলের উপর।

Tuesday, 12 May 2015

কেগো তুমি

কেগো তুমি

আব্দুল মান্নান মল্লিক

কেগো তুমি সেই? বৃহৎ কারিগরি
অস্থিয় গড়েছ পিঞ্জর, পলিতে দিয়েছ ঢাকি।
কেগো তুমি সেই? বৃহৎ কারিগরি।
কাশবন শীর্ষের উপর
আচ্ছাদিত অজিনে পিঞ্জর
সমুদ্র পিঞ্জর মাঝে, জলোচ্ছ্বাসে পূর্ণ শাখানদী।
কেগো তুমি সেই? বৃহৎ কারিগরি।
সমুদ্র যেমনে সঙ্কুচিত
অভ্যন্তরে পিঞ্জর প্লাবিত
বিগ্রসরে ফিরিছে আবার, সর্বদাই ঘুর্নন গতি।
কেগো তুমি সেই? বৃহৎ কারিগরি।
জাগিয়া উঠিছে বিহ্বলা
পিঞ্জরে ছুপানো অগ্নিগোলা
নিভাতে পশিয়া লহরী, ক্রোধের আগ্নেয়গিরি।
কেগো তুমি সেই? বৃহৎ কারিগরি।
শৈবালে করিবে রোধ
জলোচ্ছ্বাসের প্রবাহী পথ
নিভিয়া যাইবে সেদিন, পিঞ্জর মাঝারের বাতি।
কেগো তুমি সেই? বৃহৎ কারিগরি।

Monday, 11 May 2015

অর্থাভাবে শূন্য নীড়

অর্থাভাবে শূন্য নীড়

আব্দুল মান্নান মল্লিক

তোরে কতো বাসি ভাল তথায় করিস মনভারি,
যেথায় সেথায় যাব দুইজন আছি আমি লস্করি।
ঝগড়া ঝাটি করলি কতই মানিক নিবার বাহানা,
সাপ ধরতে গেলাম তবু মানিক হাতে পেলামনা।
চাঁপা গাছের তলে বসে খেলেছি কতই দুজনে,
হৃদয় মাঝে গাঁথা আমার বুঝায় তোরে কেমনে।
জেদটি ধরিস কাঁদিস যখন মতি নিবার ছলনা,
ডুবিয়ে গাঙের ঝিনুক তুলি মতি তাতে ছিলনা।
পুতুল খেলার ঘর বানালি তিনটে ইটের দালান,
পুর্ণ করিস খেলার সংসার করলি মোরে শ্রীমান।
বাস্তব ঘর বাঁধবো যেদিন তুইতো আমার বাসনা,
কল্পনা করি খেলার মাঝে তোকে নিয়েই ধারণা।
টাকা পয়সায় কমতি আমি অনেক বড়ো মনটা,
তোকে নিয়ে ছাড়তে পারি আমি গোটা দেশটা।
লালস আশে বাসলি ভাল করলি কত প্রবঞ্চনা,
নিজের জীবন তুচ্ছ করি পেলাম কেবল গঞ্জনা।

Thursday, 7 May 2015

ভুলিনি আজও

ভুলিনি আজও

আব্দুল মান্নান মল্লিক

তবুও অল্প পড়েছে মনে, ওপারের পৃথিবী। ছিলো হয়তো অল্প অনুভূতি। ভুলিয়াছি সেই পৃথিবী, পাইনি যেখানে কোন আঘাত, ব্যথার ছাপ। সেদিনের সেই পৃথিবী, আজও ভেসে ওঠে দৃষ্টিকোণে।
দেখিতেছি স্বপ্নের রূপ, ভাঙিবে কখন ঘুম? স্বপ্নে গড়া এই পৃথিবী ? প্রকৃতির দৃশ্য মাঝে চিৎকার, হাহাকার, ভরেছে আর্তনাদে! বন্ধ হয়েছে আজ অন্তর চক্ষু। স্বপ্নের ছায়া ঘিরে, ছিন্ন করেছে মোরে।  ক্ষুধার্ত ছিল শিশু, মায়ের কোলে। আসিয়া দাড়াইলো দ্বারে। শিশুটি চাহিয়া ছিল মোর পানে, শুকনো নয়নে, পলকহীনে। কিছু কালবিলম্ব পরে, উঠিয়া চলিয়া গেল ধীরে। পারিনি হাসিমুখে ফিরাতে। ফিরিয়া চাহিয়া দেখি, ভিজিয়া গিয়াছে চৌকাঠ, দু-চার ফোঁটা জলের দাগ। হইতো মায়ের হবে অশ্রুজল। পারি নাই বুঝিতে, সেই অশ্রুজলের ভাষা। হরণ করিয়াছিল চৌকাঠ। জানিনা আমি, নিষ্ঠুর ছিল কি না আমার সেই চখের ভাষা।  তাইতো! কোথায় হারিয়ে গেল দোহে! ধিক্কারি নিজেকে! করিবে কে? আমার এই অপরাধ ক্ষমা? ভুলিতে পারিনা আজও। ভুলিবো সেদিন, স্বপ্ন ভাঙিবে যেদিন!


কালো ছায়া আজও

কালো ছায়া আজও

আব্দুল মান্নান মল্লিক

রমন?
শৈশব কালের বন্ধুত্বের বন্ধন।
এক পদে চলতাম দোহে
বন্ধনের মোহে।
বৈশাখী অমাবশ্যার কালো রাত্রি, গোটা পৃথিবী গেছে ঢাকি।
রাত আটটার পরে, হয়েছিল বৃষ্টি অঝোরে।
প্রায় ঘন্টার পরে, থমকে গেল বৃষ্টি।
তারপর?
ভয়ংকর সেই রাত্রি, মেঘেদের দাদাগিরি।
সঙ্গে নিয়ে যেন গুলি বারুদের বোঝা, নীল আঙিনায় অবাধে ঘোরাফেরা।
উঁচুনিচু গর্জনে মেঘেদের ডাক।
চোখ ধাঁধাঁনো আগুনের গোলা, বারংরার করিছে  পৃথিবীর বুকে আঘাত।
তখনো বসিয়া বারান্দায়,
আকাশের তান্ডব, ভয়েতে হইতো প্রাণ যায়।
ডাকিছে কে যেন, প্রাচীরের ওপারে
রমনীর কন্ঠস্বর বিদঘুটে ভয়াবহ অন্ধকারে।
কি জানি কে হবে, ডাকিছে যেন ভীতির সঞ্চারে
চেনা যেন কন্ঠস্বরে।
তখন রাত্রি হয়তো দশটা -।
সঙ্গী ছিল শুধু টর্চটা।
কিছু ভয় কিছু সাহসে, ক্ষণপদে এগিয়ে যায় সেথা।
টর্চের আলো ফেলতেই দেখি,
 রমনের ছোট ভাই সাথে
নিভা হ্যারিকেন হাতে।
কাকিমা একি! এতো --
 হাঁ বাবা এতো রাত হল, তবুও দুর্যোগ।
ফেরেনি বাড়িতে রমন,
থামেনা কাকিমার ক্রন্দন।
শুনিবারে বিকলে দেহ
কাকিমারে বুঝাইয়া পাঠায় বাড়ি, সঙ্গে নাই আর কেহ।
খুজিয়া সারাটা গ্রাম,
আরও খুজেছি মাঠ, ঘাট।
রাত দুটোর পরে,
ফিরে আসি ঘরে।
ঘুম ভাঙতেই সকালের বেলায়,
পাড়াতে হৈচৈ।
রাস্তায় নামিয়া দেখি, মানুষের আনাগোনা
জিগায় যদিবা কারো, বলিছে যায়না চেনা।
হাঁসিয়া যায় সবে
ফিরিছে মলিন মুখে।
কোথাকার ঘটনা,
বলে কেবল, তাও জানিনা।
তর সহেনা মনে, ছুটিয়া যায় নিজে
দূরেতে মানুষের ভীড় রয়েছে জমে।
হাড়ভাঙার সেই মাঠে।
ভীড় ঠেলিয়া ঢুকি
শুয়ে আছে কে যেন রক্তিম চাদরে ঢাকি।
বুঝিতে রইলনা আর বাকি
চাদর চিনিছে মোর দুই আঁখি।
তবুও চাদর সরায়ে মুখটি দেখি
এবারে উত্তরিবো কাকিমারে কি?

সম্পুর্ণটা কাল্পনিক ঘটনা