গাঁয়ের মেয়ে শহুরে বউ
আব্দুল মান্নান মল্লিক
শিশু ছিলাম ভালোই ছিলাম
পাড়া গাঁয়ের মেয়ে।
ভাবতে ভাবতে বড় হলাম
আকাশ পানে চেয়ে।।
আমের বনে শাখায় শাখায়
গাইতো কোকিল গান।
বসন্ত দিনের পাগলা বাতে
জুড়িয়ে যেত প্রাণ।।
উঠান গাছের মাথায় মাথায়
জ্বলতো সারারাতি।
জ্বলে একবার নিভে আবার
জোনাকিদের বাতি।।
ভাল লাগেনা শহর আমার
চলে কলের গাড়ি।
গ্রাম ছেড়ে আজ শহরে দেখি
পোড়া মাটির বাড়ি।।
সঙ্গী-সাথি সব ছেড়ে আজ
পর হল মোর ঘর।
গ্রাম ছেড়ে আজ শহুরে মেয়ে
মা-বাবা হয় পর।।
কোকিলের সুরে সুর মিলিয়ে
কুহু কুহু গেয়ে।
কোথায় যেন খড়ের ছাউনি
ভাঙা পাঁচিলের গায়ে।।
উঠান ভরা চাঁদের আলো
মায়ের মুখের হাসি।
সব ভুলে আজ হলাম আমি
দূরের শহরবাসী।।
বাবার স্নেহ মায়ের আদর
ছিলাম শিরোমণি।
ঘর ছেড়ে আজ পরের ঘরে
দেবতার পূজারিণী।।
শৈশবের সেই দিনগুলি সব
ফেলে আসা গাঁয়ে।
লাভ নাই আজ মনে রেখে
আমি যে শহুরে মেয়ে।।
আব্দুল মান্নান মল্লিক
শিশু ছিলাম ভালোই ছিলাম
পাড়া গাঁয়ের মেয়ে।
ভাবতে ভাবতে বড় হলাম
আকাশ পানে চেয়ে।।
আমের বনে শাখায় শাখায়
গাইতো কোকিল গান।
বসন্ত দিনের পাগলা বাতে
জুড়িয়ে যেত প্রাণ।।
উঠান গাছের মাথায় মাথায়
জ্বলতো সারারাতি।
জ্বলে একবার নিভে আবার
জোনাকিদের বাতি।।
ভাল লাগেনা শহর আমার
চলে কলের গাড়ি।
গ্রাম ছেড়ে আজ শহরে দেখি
পোড়া মাটির বাড়ি।।
সঙ্গী-সাথি সব ছেড়ে আজ
পর হল মোর ঘর।
গ্রাম ছেড়ে আজ শহুরে মেয়ে
মা-বাবা হয় পর।।
কোকিলের সুরে সুর মিলিয়ে
কুহু কুহু গেয়ে।
কোথায় যেন খড়ের ছাউনি
ভাঙা পাঁচিলের গায়ে।।
উঠান ভরা চাঁদের আলো
মায়ের মুখের হাসি।
সব ভুলে আজ হলাম আমি
দূরের শহরবাসী।।
বাবার স্নেহ মায়ের আদর
ছিলাম শিরোমণি।
ঘর ছেড়ে আজ পরের ঘরে
দেবতার পূজারিণী।।
শৈশবের সেই দিনগুলি সব
ফেলে আসা গাঁয়ে।
লাভ নাই আজ মনে রেখে
আমি যে শহুরে মেয়ে।।