বনিতা নির্যাতিতা
আব্দুল মান্নান মল্লিক
স্বামীর ঘরে নির্যাতিতা লক্ষী বনিতা,
স্বামীর প্রহারে লক্ষী নিকৃত লাঞ্ছিতা।
ননদের জ্বালাতন আর স্বামীর প্রহার,
কুলবধূ লাঞ্ছিতা শাশুড়ীর অত্যাচার।
ক্ষুধার জ্বালায় কাটে দিন সমুদায়,
ক্ষণে এক মুঠো নয়তো ব্যগ্র ক্ষুধায়।
দিনে দিনে বাড়ে জ্বালা নিভৃতে সহে,
হাসিকান্না মানা তার সদা থাকে ভয়ে!
সংসারে ক্ষয়-ক্ষতি আসে যদি অল্প,
সব দোষ কুলবধূর গড়ে ওঠে জল্প।
অক্লিষ্ট কর্মযোগে শুনে অশ্লীল গালি,
হাসি মুখে সহে তবু যেন এক পাগলি।
শাশুড়ির কানভাঙানি ননদের কান্না,
ছলনার বশে স্বামী অবাধ্য উত্তেজনা।
রোষাগ্নির পদাঘাত চুলের মুঠি ধরে,
শত কষ্টে কৃতজ্ঞ বণিতা স্বামীর ঘরে।
ঠেলে দিয়ে বলে স্বামী ঠাঁই নাই ঘরে,
তবু ভুলে পিতৃগৃহ চেয়ে থাকে দূরে।
অপেক্ষায় কাঁদে বনিতা পথের ধারে,
অশ্রুজলে রাত্রিযাপন বাড়ির বাহিরে।
অনাদরে ডাকে যদি স্বামী একবার,
ভুলে যাবে লক্ষী সব দুঃখ অনাচার।
কুলবধূ নির্যাতিতা যদি স্বামীর ঘরে,
দুর্বিষহের বিষবৃক্ষ অনটন সংসারে!
No comments:
Post a Comment