মাটির গাঁয়ে
আব্দুল মান্নান মল্লিক
আদুড়ে আহ্লাদিত শিশু ধুলোর উপর।
মুঠোমুঠো সাজায়ে ধুলো মাটির খোলায়,
কখনো ছড়িয়ে রাস্তায় কখনো মাথায়।
খড়ের ছাউনি ঘর কোথাও পাশে টালি,
কোথাও বা ভাঙা ঘর পড়ে আছে খালি।
থাপ্পড়ের ছাপ কারো দেওয়ালের গায়,
গোময় দণ্ড কারো আঙিনায় শুকায়।ছু
টোছুটি বালকেরা কি জানি কি খেলায়,
এ উহারে করে তাড়া ছুটতে আছাড় খায়।
নাম না জানা খেলা, চোর পুলিশের দৌড়,
এ উহারে বলছে ধরে বেটা পাক্কা চোর।
বটবৃক্ষ ছায়াতলে কাঁচা বাশেঁর মাচা,
কেচ্ছার ভিড় জমায় প্রবীন রহিম চাচা।
বিদ্যাহীনে কেচ্ছার ঝুড়ি রহিম চাচার,
নিত্য নতুন কথা যোগায় বড় মজাদার।
রাস্তার ধারেতে ছেদির মুদির দোকান,
বেচা কেনা করে আর খায় জর্দা-পান।
গড়ে পড়ে পিক তার ঠোঁটের কোণে,
নিচ্ছে বেশী দিচ্ছে কম দাঁড়ির ওজনে।
খক খক কাসিতে হাতে হুঁকায় কানাই,
সাধ্য দমে আগুন জ্বলে হুঁকার মাথায়।
ধোঁয়া ছেড়ে কথা বলতে চক্ষু হয় লাল,
কখনো বা অশ্রু গড়ে ভিজে তার গাল।
ফেরিওয়ালা বেচে গাঁয়ে হরেক খেলনা,
উৎকটে মায়ের কাছে ছেলেদের বাহানা।
হাঁকিয়া চুড়ি ওয়ালা চুড়ি চায় ডাকে,
নববধূ উঁকি মারে জানালার ফাঁকে।
নুন-ঝুরি ডাক পাড়ে গাঁয়েতে কোথা,
চাল্ ধানের বাটি হাতে ছেলেরা সেথা।
ছেলেদের ভিড় জমে নুন-ঝুরির আশে,
মায়েরা দাঁড়ায় দূরে পাঁচিলের পাশে।
নববধূ ঘরে রয় ঘোমটায় বদনখানি,
খোঁজ খবরে মাটির গাঁয়ে শশ্রূ গৃহিণী।
দিবাবসানে হয়রানি জল ছাড়েনা হংস,
কেউ খুজে পোলাপান কেউ গোবৎস।
No comments:
Post a Comment