Saturday, 24 November 2018

বাঁশপাতার ঘর

বাঁশপাতার ঘর

আব্দুল মান্নান মল্লিক

শব্দগুলো হারিয়ে গেছে অশ্রুজলে ভেসে,
ছন্দ যত সুর হারিয়ে ক্রন্দন অবশেষে।
পথের শুরু শৈশবকালের আশা ছিল যত,
সবই মিথ্যা পথের শেষে দুঃখ অবিরত।
শব্দগুলো সাজাতে যেই স্তব্ধ কলম হাতে,
মনে পড়ে তাদের কথা ছিল যারা সাথে  ।
সঙ্গীসাথী ছিল যারা কেউবা আছে নাই,
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে অকালে ঝরে যায়।
ভুলের বসে আঁকড়ে ধরা সময় যায় সরে,
মিথ্যা আশায় দিন ফুরাল বাঁশপাতার এই ঘরে।
লিখতে হারায় শব্দমালা কোথায় ছন্দগীতি,
জীবন মরণ রণ ভাবনায় কাটায় দিবস রাতি।
পথপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখি জীবনটাই সব বৃথা,
কথার কথা সবই মিথ্যা চিরাচরিত প্রথা!

Tuesday, 16 October 2018

ভবতারিণী

ভবতারিণী 

আব্দুল মান্নান মল্লিক

মমতাময়ী জগৎ জননী বিকট কেন আজ,
শিবের আজ্ঞা রক্ষা করতে সসস্ত্রে রণসাজ।
বৃথাই ক্লেশ মা-গো তোর হয়নি দানব বোধ, 
অদ্যদিনে তাণ্ডবলীলা মানব দানব বিরোধ।
তুই যে নারী করুণাময়ী যতই করিস ছল,
অসুর নাশে তবে কেন তোর চোখেতে জল?
স্রষ্টার সৃষ্টি ভূবনটারে তুই যে করিস পালন,
কারো মতে অসুর নিধন কারো মতে শাসন।
সেবিকা তুই শাসিকা তুই  জগৎ জননী তুই,
ঘরের শত্রু ঘরে ঘরে করলি না মা কিছুই!
আকাশ পাতাল মর্তভূমি ত্রিভুবনটাই নাকাল,
নিরর্থক তোর তরবারি বাঁচতে ধরিস ঢাল।
ষোড়শোপচার শঙ্খ ধ্বনি বরণডালায় মানুষ,
ওই দেখ্ মা অসুর গোত্র ধুলোয় পড়ে বেহুঁশ।
দিনে রাতে খেলছে অসুর সর্বনাশা খেলা,
তাইতো মানুষ পথভ্রষ্টে অসুরকুলের চেলা।
অসুর নিধন বিফল মাগো যুগযুগান্তর ধরে,
উচ্ছেদ হবে কেমন করে অসুর সবার ঘরে।
এবার যখন আসবি মা তুই সয়ং রোষানলে, 
অসুরকুলের হোক অবসান তোর কোপানলে। 
রোষাগ্নিতে করিস মা তুই দুষ্ট অসুর নিধন, 
নইলে বিনাশ সত্যপথের নশ্বর হবে ভুবন।


Friday, 12 October 2018

আশ্বিনি বাদল

আশ্বিনি বাদল

আব্দুল মান্নান মল্লিক

মেঘলা দিনের শীতেল হাওয়া বইছে বৈঁ-বৈঁ,
সূয্যিমামা মুখ ঢেকেছে নীল আকাশটা কৈ?
শীত এলোরে শীত এলো মেঘের আঁচল ধরে,
মলিন আকাশ মেঘের ঘটা বৃষ্টি ফোটা ঝরে।
মাধবীলতার ঢলাঢলি কে কার উপর পড়ে,
বৃষ্টিভেজা কলা পাতা কে কাকে রয় ধরে।
সিক্ত হয়ে কাশফুল সব জড়িয়ে গেছে গাছে,
ঝাঁটার কাঠি দাঁড়িয়ে শুধু ডাকেনা কেউ কাছে।
অসময়ে হাঁকছে কারা বান ডেকেছে ওই,
বুড়ো বুড়ি হায়-হায় কাঁদে পাড়াতে হৈ-চৈ।
গহুর পাড়ে শিয়াল কাঁদে জমির আলে ইঁদুর,
হাঁসেরা জলে সাঁতার কাটে পদ্ম পাতায় দাদুর।
ঝিমরে গাছে বাদুড় ঝুলে হুনুমান গাছের ডালে,
ছুমাই দাদু মাছ ধরতে কোমর বেঁধেছে খালে।

Monday, 1 October 2018

পথের শেষে

পথের শেষে

আব্দুল মান্নান মল্লিক

ঘুরছে জগৎ ঘুরছে বাতাস ঘুরছে আসমান,
পথের ধুলি গুনতে গুনতে দিনের অবসান।
স্মৃতিগুলো বেহায়া সব ফিরে চায় বারবার,
সন্ধ্যাপ্রদীপ উঠলো জ্বলে দুচোখে আঁধার।
মিছামিছি সুখের আশায় সুখ মিলেনা কভু,
মিটিমিটি আশার আলো জ্বলিয়ে রাখি তবু।
পথের শেষে কষ্টে এসে হোচট খেয়ে পড়ি,
তবুও খুশির স্বপ্ন আঁকি রাজার আসন গড়ি।
যেদিকে চায় ধু-ধু আকাশ চোরাবালিয় পা,
ভ্রমের পথে পা বাড়িয়ে তবুও খুজি ডাঙা।
হঠাৎ দেখি কখন যেন দাড়িয়ে পথের শেষে,
দিনের আলো মিলিয়ে এল আঁধার চারিপাশে।
স্বপ্ন আঁকা ছিল যত কলাকৌশল আলপনা,
অবহেলায় সময় হারায় বৃথাই চিন্তা কল্পনা।

Monday, 20 August 2018

দিশাহারা

দিশাহারা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

কেউ বোঝে কেউ বোঝেনারে
জীবন বড় বিষময়!
ভ্রান্ত পথের পথিক মানুষ
করতে চাই পাপের ক্ষয়।
সারিতে মানুষ চলছে আশে
গড়বে জীবন পবিত্র।
লোহিত জলে সাঁতরে চলে
ধুয়ে যাবে পাপ চরিত্র।
লোলুপ নেশায় দিশাহারা
ঘুরছে মানুষ বেপরোয়া।
গুরুর কাছে আইন জারি
স্বার্থান্বেষী ফতোয়া!

Monday, 13 August 2018

√ যত মত তত পথ

যত মত তত পথ

আব্দুল মান্নান মল্লিক

কার প্রেমে পাগল মোরা দিন যে গেল বয়ে,
পদ্ম কুসুম দগ্ধ হাতে তবুও পথ চেয়ে।
কারো আহ্বান গৃহত্যাগী বৃক্ষ ছায়াতলে,
আসন পেতে ডাকছে কেহ কাঁদছে অশ্রুজলে।
কারো বিশ্বাস অনড় পথে বৃথাই অনশন,
সত্য ত্রেতা দ্বাপর কলিয় পাইনি দর্শন।
একটু ছোঁয়া একটু সাড়ায় আসতো পাশাপাশি,
দগ্ধ কুসুম হাতে হাতে থাকতো না আর বাসি।
নতুন করে উঠতো জেগে প্রভুর কৃপায়,
চিত্ত বনে নিত্য লীলা বিফল অভিপ্রায়।
জন্ম যেথা বিলীন সেথা সাগর জলের ঢেউ,
চিত্ত বনের অগ্নি জোয়ার নিভায় নাতো কেউ।
বলতো দেখি কুসুম রে তুই করব সমর্পণ,
কার লাগিয়া হাতে ধরি বয়ে যায় দিনক্ষণ।
হেথা হোথা নাইরে কোথা এই কথাটি সার,
সবার ঘরেই বসত বাড়ি সে যে নিরাকার।
যেমন খুশি শুভ্র কালো হোকনা জ্যোতি আলো,
ভালোবাসার কাঙাল আমি সবই আমার ভালো।
যেথায় জবা গুল কুসুমের এক বাগিচায় বাস,
সেথায় ভ্রমর মধু পানে একই চাষীর চাষ।
একই স্রষ্টার সৃষ্টি মোরা তবুও জাতপাতে,
বিবশ মানুষ ভ্রান্ত পথে দাঁড়িয়ে সংঘাতে।

Friday, 27 July 2018

দিশারী

দিশারী

আব্দুল মান্নান মল্লিক

সকল জীবের উচ্চে মানুষ মনে জোহর ক্ষোভ,
যে মুখেতে তিক্তের স্বাদ সেই মুখেতেই টক।
রঙ বদলায় দিনে-রাতে স্রষ্টার লীলা সৃষ্টি,
ঝাল খেয়েও তুষ্টি মানুষ ভালোবাসে মিষ্টি।
শাস্ত্র কথায় বিশ্বাস সবার থাকে যদি স্বার্থ,
আত্মতুষ্টি থাকলে তবেই নইলে শাস্ত্র ব্যর্থ।
বুলি আওড়াই পথেঘাটে সত্য পথে চলি,
শাস্ত্র দোহাই দিয়ে মানুষ পশুরে করে বলি।
শাস্ত্র ছেড়ে আয়রে সবে বিবেকের দরবার,
মনের ঘরে জ্বালায় বাতি ঘুচাই অন্ধকার।


Friday, 20 July 2018

আমার মা, আমার গাঁ

আমার মা, আমার গাঁ

আব্দুল মান্নান মল্লিক

আজকে যদি থাকত কাছে
আমার প্রিয় মা
নয়ন ভরে দেখতাম আবার
শৈশবের সেই গাঁ
চাঁদ দেখিয়ে মন ভুলাত
কান্না পেলে রাতে
আঙুল দেখিয়ে বলত সোনা
এনে দিবো হাতে
মায়ের কোলে রোদ উঠেছে
সেগুন গাছের মাথায়
সেদিনের সেই কথা বলা
গোধূলি শেষ বেলায়
মায়ের কোলে গরুর গাড়ি
রাঙা মাটির পথে
গাঁ ছাড়িয়ে পাশের গাঁ-টি
মামার গাঁয়ের সাথে
ঐ দেখা যায় গাছের ফাঁকে
রেল লাইনের ধারে
আমার বাড়ি মামার বাড়ি
ছোট্টো মাঠের পরে


Saturday, 14 July 2018

আষাঢ়ে খরা (১৪২৫)

আষাঢ়ে খরা ( ১৪২৫ ) 

আব্দুল মান্নান মল্লিক

আষাঢ় মাসে নাইরে বৃষ্টি করি আপসোস 
মাটি পুড়ে তপ্ত তামা আনারসে নাই রস।
ঝনঝন বাজে গাছের ডাব একি হল হায়,
আষাঢ় নাকি চৈত্র মাস বুঝা ভীষণ দায়।
নাইরে বৃষ্টি হিমেল বায়ু অশ্রু শুকাই চোখে,
তপ্ত বাতাস স্বস্তি নাইরে ঘর্ম শুকাই ত্বকে।
মৃৎগর্ভে অঙ্কুর মরে শুকনো দিঘীয় শালুক
চাতক মরে জল তেষ্টায় তটে মরে ঝিনুক 
চিড় ধরেছে চাষের জমি চাষির গালে হাত 
রোদ নয়তো গগন ভেদি কোপের উল্কাপাত 
শুকনো পাতায় নূপুর বাজে চরে ভাবে বক,
পানকৌড়ি পুকুর পাড়ে পোহায় দুঃখ-শোক।
ঝিঙে ফোটে খালে বিলে পাড়ে বিষন্ন  তরু,
রাখাল কাঁদে জল তেষ্টায় গাঙে চরে গরু।
চলত যেথায় নৌকা ডিঙা চলে গরুর গাড়ি 
পায়ে হেঁটে আসা যাওয়া দিচ্ছে খাড়ি পাড়ি
গগন চেয়ে দিন গুনে যায় তেষ্টায় যায় প্রাণ,
বৃথাই আশা কান্নাকাটি বিফল অভিমান।
ভুলে গেছে মেঘদেবতা আষাঢ় মাসের কথা,
হারিয়ে গেছে প্রকৃতির সেই চিরাচরিত প্রথা।

Wednesday, 4 July 2018

√ মেঘলা দিনের কাব্যকথা

মেঘলা দিনের কাব্যকথা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

মেঘলা আকাশ ছায়াতলে,
গাছের মাথা দোলে।
ঘাসের মাথায় রং ধরেছে,
রঙিন শুভ্র ফুলে।
মাতাল হাওয়া এলোমেলো,
বইছে চতুর্দিকে।
সবুজ বনের মাথায় মাথায়,
আকাশ রঙে ফিকে।
পলাশ কদম শখায় শাখায়,
পুকুর জলে পদ্মবাহার।
চোখ জুড়ানো সবুজ পাতায়,
ছাউনি চমৎকার।
বিহগ বিহগী জোড়া জোড়া,
আমড়া গাছের ডালে।
চঁচু খেলার আলিঙ্গনে,
প্রেমের কথা বলে।
অধরে অধর মাঠের শেষে,
আকাশ ছুঁয়ে ভুমি।
জল-কুয়াশায় সিক্ত হৃদয়,
যে যার অনুগামী।

Tuesday, 12 June 2018

ভোজবাজির এই দুনিয়াতে

ভোজবাজির এই দুনিয়াতে

আব্দুল মান্নান মল্লিক

বাড়তে থাকে দিন বাড়তে থাকে বয়স,
লোভে পাপ পাপে মৃত্যু বড়ই আপসোস।
কি আনন্দ কি আনন্দ মোহে পড়েছি ধরা,
লুয়ে লুয়ে চিত্ত শুকাই দু'চোখে নামে খরা।
মধুর আদল গরল পানে পড়ে গেছি বাঁধা,
স্বপ্ন নাকি আদত জীবন বিশ্ব গোলকধাঁধা।
কুহকী তুই প্রবঞ্চক তুই বাঁধলি ছলেবলে,
তোর উঠানে বন্দি আমি মোহ মায়াজালে।
বিশ্বটারে দেখতে চেয়ে শতরঞ্জের কারসাজি,
দুনিয়াটা বহুরূপী ঠকবাজি আর ভোজবাজি।
স্রোত বয়ে যায় সময় যত চতুর্দিকে ফাঁকা,
যেদিকে চায় ডাইনে বাঁয়ে আমি আস্ত বোকা।
তোর দুয়ারে বৃথাই আমি পুণ্য হিসাব করি,
ধন্য জীবন বিফল গেল পাপে ডুবে মরি।
কোথায় রত্ন সোনার খনি পঙ্কিল শুধু সার,
তোর উঠানে ঘুরে ঘুরে হলাম কদাকার।
শৈশবের সেই স্বপ্ন ছিল ভাবনা ছিল অনেক,
দিন ফুরানো সাঁঝের বেলায় ভাবতে উদ্বেগ।
রূপের জৌলুস ছুটে আসে প্রমোদ উল্লাস,
অভ্যন্তরে প্রবেশ করি নোংরামিতে বাস।
দিনের শেষে পারের গুটির অঙ্ক কষে দেখি,
সব হারিয়ে ফিরে পেলাম জলে ভরা আঁখি।

Monday, 7 May 2018

উন্মাদনায় কালবৈশাখী

উন্মাদনায় কালবৈশাখী

আব্দুল মান্নান মল্লিক

নীলিমা বিতান ছায়াতলে পাখিদের গান,
শতরূপে সাজানো জগৎ ভূস্বর্গের প্রাণ।
পবনে পাবকে শিতলায় একশায়,
নিনাদিতে ডাক দেয়ে নভ পশ্চিমায়।
প্রাতম্বরে আতসবাজি মহা উল্লাস,
অম্বুদের হাতে-হাত এলোরে প্রথম মাস।
শূন্যধাবন পথের ধুলো উদ্দাম বাতাসে,
মেঘপুঞ্জ এলোমেলো উড়ে যায় আকাশে।
ক্ষণেক্ষণে বক্রপথে আলোর ঝলক,
ভূপৃষ্ঠে ছিটকে পড়ে অগ্নি-ফলক।
কাঁচা আম গড়াগড়ি কালবৈশাখী ঝড়ে,
বৃন্তে-বৃন্তে বৃক্ষশাখে কে কার উপর চড়ে।
নজরকাড়া কৃষ্ণচূড়া স্বর্ণচাঁপার জৌলুশ,
সৃষ্টি শোভন লণ্ডভণ্ড বিশ্ব ক্লান্তে বেহুশ।
নির্মমতায় আছড়ে পড়িস ভূপৃষ্ঠে বাজ,
নভস্থলে রণ সাজে তুই যে গোলন্দাজ।

Wednesday, 7 March 2018

√ তোর পরশে কলুষিত

তোর পরশে কলুষিত

আব্দুল মান্নান মল্লিক

লাঞ্ছনা আর গঞ্জনা শুধু,
পেলাম কি মা তোর কাছে?
ভালোই ছিলাম সেদিন আমি,
ছোট্ট ঘরে পথের মাঝে।।

তোর উঠানে চলতে হয় ভয়!
দেখে-শুনে ডাইনে-বাঁয়ে।
জঞ্জাল ভরা উঠান পথে,
ছাঁদা বাধে পায়ে-পায়ে।।

জনসমুদ্র পথের ভিড়ে,
হৃদয় ধু-ধু কান্না ঘরে।
চলতে চলতে থমকে দাঁড়াই!
পাপ বিজনে পথের ধারে।।

জাদুর রাণী ছলনাময়ী,
বাঁধিস না আর মোহে।
তোর বুকেতে কলুষ আমি,
নোংরা মাখি দেহে।।

অবুঝ মনে ভুলের বসে,
উৎকণ্ঠায় তোরই বক্ষে।
কেমন করে ফিরবো ঘরে
সারা গায়ে নোংরা মেখে?

Wednesday, 7 February 2018

শ্যামা ফিঙের পরচর্চা

শ্যামা ফিঙের পরচর্চা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

ডালে বসে ফিসফিস করে শ্যামা ফিঙে।
ফিঙে বলে ব্যাপারটা কি বলতো ভেঙে।
শ্যামা বলে চুপিচুপি ফিঙের কানে,
কেউ জানেনা তুই আর আমি সংগোপনে।
শুনবে নাকি নতুন খবর আরও কিছু?
কাকের বাসায় কোকিল ছানা এতকিছু।
ভালোবাসায় বড় করে বোকা কাক,
কোকিল ছাড়া শুনবে কে তার মা ডাক?
ফিঙে বলে বলবো নাকি আসল ঘটনা,
কাকের কানে বলবো সব তুই জানিস না।
তোর বাসাতে কোকিল ছানা মেলবে ডানা,
উড়বে যেদিন কেঁদেকেটে কুল পাবিনা।
চুপ-চুপ-চুপ চু---প! শ্যামা বলে বলতে মানা।
কি করতে কি যে হবে কিছুই জানিস না।
ওই যে কুহু ডাকছে কোকিল পাহারাদারি,
কাকের পিছে টিটকারি আর খবরদারি।
ফিঙে বলে থকব না চুপ করব ঘোষণা,
সব পাখিদের ডেকে বলব আসল ঘটনা।
ডাকবে কি আর মা-মা বলে কা-কা রবে,
কুহু-কুহু গান গেয়ে সে কোকিল হবে।
চুপ করিয়ে শ্যামা বলে কিছুই বুঝিস না,
আসল কথা বলব যদি ঘরে দিবে হানা।