স্বর্ণলতা
আব্দুল মান্নান মল্লিক
স্বর্ণ-পুরী দেশের আখ্যান্ আছে সবার জানা,
দাঁতাল রাক্ষস তৈরী করে রাক্ষসের আস্তানা।
কাঞ্চন্ রাজার স্বর্ণ-পুরী সাজানো রাজসভা,
মায়া ঘেরা দেশটি ছিলো রাজার ছিল প্রভা।
স্বর্ণ দিয়ে মোড়ক বাঁধা দেশটি ছিল মজার,
স্বর্ণলতা নামটি ছিল একটি কন্যা রাজার।
দাঁতাল্ নামে ছিলো এক সর্দার রাক্ষস যেই,
চক্ষুতে তার অগ্নি ছুটে দেখলে আসে ধেয়।
দাঁত্ নয়তো অঙ্কুশ যেন নখ্ নয়তো আঁকড়া,
নোলা খানা রক্তবর্ণ লোমগুলো সব খাড়া।
মায়াবতী মাঠের পারে রূপকথার সেই দেশ,
রাজা প্রজা ছিলো যত করলো খেয়ে শেষ।
হীরা মানিক কাঞ্চন ভরা রাজ-কন্যার শোভন,
দুধে আলতায় গাত্র প্রকার সুন্দর ছিল বদন।
রাজকন্যার জনক্ ছিলেন এই দেশেরই রাজা,
দাঁতাল রাক্ষস করলো ভক্ষণ্ দিল মরণ্ সাজা।
যুগল বছর বয়স ছিলো রাজ-কন্যার যখন্,
জননী গেল উদর গর্ভে করে দাঁতাল্ ভক্ষণ্।
দুর্বল হয় রাজার গোষ্ঠী ছিলো যারা বাকি,
একে একে হারায় প্রাণ কন্যারে দিল রাখি।
রাজপ্রাসাদ শুন্য যখন দাঁতাল সাজে রাজা,
কোথা হতে আনছে ধরে খাচ্ছে মানুষ তাজা।
পালবে মানুষ রাজকন্যারে তুলে নিল কোলে,
রাক্ষস গোষ্ঠী সবে মিলে সোহাগে গড়ে তুলে।
আঠারো বছর পূরণ্ হল রাজ-কন্যার যখন্,
বুঝতে পেরে ফন্দি বাঁধে করবে রাক্ষস নিধন্।
স্বর্ণ-পিঞ্জর পাখির ভিতর্ রাক্ষস প্রাণ বর্তমান,
নিধন্ পাখি হলে তবে রাক্ষস গোষ্ঠীর অবসান।
রাক্ষসেরা শিকারে বেরোয় রাত বারটার পরে,
স্বর্ণলতা ভাঙলো পিঞ্জর আনলো পাখি ধরে।
মোচড় দিয়ে মারলো পাখি পড়লে রক্ত ঝরে,
ছিলো যত বাড়বে দ্বিগুণ চতুরে নিধন্ করে।
যেথায় ছিলো মরলো সেথায় রাক্ষস কুল সবে,
আছে কোথা রাজা প্রজা তাদের বাঁচাতে হবে।
দাঁতাল মূর্তি পাথর রূপে ঘরের কোণে ছিলো,
পাখির রক্তে মূর্তি চরণ সিক্ত করিয়ে দিলো।
মূর্তি হইতে বেরিয়ে আসে রাজা প্রজা যত,
স্বর্ণ-পুরী যেমন ছিলো ফিরলো আগের মত।
স্বর্ণলতার নামে পুজো চলেছে আজ সেথা
অনেক কষ্ট সহনশীলে ঘুচাই সবার ব্যথা।
আব্দুল মান্নান মল্লিক
স্বর্ণ-পুরী দেশের আখ্যান্ আছে সবার জানা,
দাঁতাল রাক্ষস তৈরী করে রাক্ষসের আস্তানা।
কাঞ্চন্ রাজার স্বর্ণ-পুরী সাজানো রাজসভা,
মায়া ঘেরা দেশটি ছিলো রাজার ছিল প্রভা।
স্বর্ণ দিয়ে মোড়ক বাঁধা দেশটি ছিল মজার,
স্বর্ণলতা নামটি ছিল একটি কন্যা রাজার।
দাঁতাল্ নামে ছিলো এক সর্দার রাক্ষস যেই,
চক্ষুতে তার অগ্নি ছুটে দেখলে আসে ধেয়।
দাঁত্ নয়তো অঙ্কুশ যেন নখ্ নয়তো আঁকড়া,
নোলা খানা রক্তবর্ণ লোমগুলো সব খাড়া।
মায়াবতী মাঠের পারে রূপকথার সেই দেশ,
রাজা প্রজা ছিলো যত করলো খেয়ে শেষ।
হীরা মানিক কাঞ্চন ভরা রাজ-কন্যার শোভন,
দুধে আলতায় গাত্র প্রকার সুন্দর ছিল বদন।
রাজকন্যার জনক্ ছিলেন এই দেশেরই রাজা,
দাঁতাল রাক্ষস করলো ভক্ষণ্ দিল মরণ্ সাজা।
যুগল বছর বয়স ছিলো রাজ-কন্যার যখন্,
জননী গেল উদর গর্ভে করে দাঁতাল্ ভক্ষণ্।
দুর্বল হয় রাজার গোষ্ঠী ছিলো যারা বাকি,
একে একে হারায় প্রাণ কন্যারে দিল রাখি।
রাজপ্রাসাদ শুন্য যখন দাঁতাল সাজে রাজা,
কোথা হতে আনছে ধরে খাচ্ছে মানুষ তাজা।
পালবে মানুষ রাজকন্যারে তুলে নিল কোলে,
রাক্ষস গোষ্ঠী সবে মিলে সোহাগে গড়ে তুলে।
আঠারো বছর পূরণ্ হল রাজ-কন্যার যখন্,
বুঝতে পেরে ফন্দি বাঁধে করবে রাক্ষস নিধন্।
স্বর্ণ-পিঞ্জর পাখির ভিতর্ রাক্ষস প্রাণ বর্তমান,
নিধন্ পাখি হলে তবে রাক্ষস গোষ্ঠীর অবসান।
রাক্ষসেরা শিকারে বেরোয় রাত বারটার পরে,
স্বর্ণলতা ভাঙলো পিঞ্জর আনলো পাখি ধরে।
মোচড় দিয়ে মারলো পাখি পড়লে রক্ত ঝরে,
ছিলো যত বাড়বে দ্বিগুণ চতুরে নিধন্ করে।
যেথায় ছিলো মরলো সেথায় রাক্ষস কুল সবে,
আছে কোথা রাজা প্রজা তাদের বাঁচাতে হবে।
দাঁতাল মূর্তি পাথর রূপে ঘরের কোণে ছিলো,
পাখির রক্তে মূর্তি চরণ সিক্ত করিয়ে দিলো।
মূর্তি হইতে বেরিয়ে আসে রাজা প্রজা যত,
স্বর্ণ-পুরী যেমন ছিলো ফিরলো আগের মত।
স্বর্ণলতার নামে পুজো চলেছে আজ সেথা
অনেক কষ্ট সহনশীলে ঘুচাই সবার ব্যথা।
No comments:
Post a Comment