নিষ্ঠুর আহবান
আব্দুল মান্নান মল্লিক
শৈশবে হারিয়ে মাতা ছিলো শুধু দিদি,
অকালে ছিনিয়ে নিলে নির্মম সেই বিধি।
সর্পাঘাতের জ্বালায় পীড়িত ছিলো দিদি,
বসে ছিনু দিদির পাশে অসহায় নিরবধি।
শান্তনা দিলো সবে আবার আসিবে ফিরে,
তাইতো বসিয়া আছি একা নদীর তীরে।
ঘুমন্ত দেহ তোমার ভাসিয়ে দিলো জলে,
সঙ্গীহীনে দিলে পাড়ি আমি কান্দি কুলে।
নদীতটে বসে আছি তোমার অপেক্ষায়,
কতদূরে রয়েছ তুমি অজানা ঠিকানায়।
পারিনা সহিতে আমি মোর কৃশ অন্তরে,
দেখিবারে নাই কেহ এই ধরনীর পরে।
হইতো আসিবে এবার দিবে মোরে দরশন,
প্রবাহী নদীপথে আমি নিরীক্ষিত সারাক্ষন।
কেমনে রয়েছ তুমি ভায়েরে গেছ ভুলে,
খন্ডিত অন্তর আমার জ্বলিছে দাবানলে।
ভাসিলে জলে তুমি আমি নয়নের নীরে,
দুজনের ব্যবধানে তুমি আজ কতদূরে।
জলাঘাতে বক্ষের তট খণ্ডিছে বার বার,
মুছাতে নাই কেহ দুই চোখের জলাধার।
ছলছল নয়নে চাহি ছিলে মোর পানে,
বলিবারে চাহিয়া কিছু তুমি মোর সনে।
হাতটা বুলায়ে গায়ে বন্ধ করিলে চক্ষুপাতা,
সবকিছু কাড়িয়া নিল নিষ্ঠুর সেই বিধাতা।
দিয়েছিলে কালি চোখে টিপ দিয়ে ভালে,
চুম্বন দিয়া গালে তুলেছিলে প্রীতির কোলে।
ছুটিয়া পালাই যখন এনেছো মোরে ধরে,
বোতলে ভরিয়া দুধ খাওয়াতে জোর করে।
আমি না খাইলে তুমি খাওনি কভু আগে,
নিরালায় তোমার কথা ভাঙা অন্তরে জাগে।
ফুল তুলিতে কাঁটা ফুটলো যেদিন দুটো,
কোলেতে নিয়েছ তুলে কেঁদেছিলে কতো।
কত আদর করেছিলে আমার ছোট্ট ভাই,
তুমি আজ কতদূরে আমি আজ অসহায়।
( *** বিধির বিধান খণ্ডিবে, আছে সাধ্য কার? ***
*** সর্বশক্তির শেষ শক্তি, সেইতো নিরাকার *** )
আব্দুল মান্নান মল্লিক
শৈশবে হারিয়ে মাতা ছিলো শুধু দিদি,
অকালে ছিনিয়ে নিলে নির্মম সেই বিধি।
সর্পাঘাতের জ্বালায় পীড়িত ছিলো দিদি,
বসে ছিনু দিদির পাশে অসহায় নিরবধি।
শান্তনা দিলো সবে আবার আসিবে ফিরে,
তাইতো বসিয়া আছি একা নদীর তীরে।
ঘুমন্ত দেহ তোমার ভাসিয়ে দিলো জলে,
সঙ্গীহীনে দিলে পাড়ি আমি কান্দি কুলে।
নদীতটে বসে আছি তোমার অপেক্ষায়,
কতদূরে রয়েছ তুমি অজানা ঠিকানায়।
পারিনা সহিতে আমি মোর কৃশ অন্তরে,
দেখিবারে নাই কেহ এই ধরনীর পরে।
হইতো আসিবে এবার দিবে মোরে দরশন,
প্রবাহী নদীপথে আমি নিরীক্ষিত সারাক্ষন।
কেমনে রয়েছ তুমি ভায়েরে গেছ ভুলে,
খন্ডিত অন্তর আমার জ্বলিছে দাবানলে।
ভাসিলে জলে তুমি আমি নয়নের নীরে,
দুজনের ব্যবধানে তুমি আজ কতদূরে।
জলাঘাতে বক্ষের তট খণ্ডিছে বার বার,
মুছাতে নাই কেহ দুই চোখের জলাধার।
ছলছল নয়নে চাহি ছিলে মোর পানে,
বলিবারে চাহিয়া কিছু তুমি মোর সনে।
হাতটা বুলায়ে গায়ে বন্ধ করিলে চক্ষুপাতা,
সবকিছু কাড়িয়া নিল নিষ্ঠুর সেই বিধাতা।
দিয়েছিলে কালি চোখে টিপ দিয়ে ভালে,
চুম্বন দিয়া গালে তুলেছিলে প্রীতির কোলে।
ছুটিয়া পালাই যখন এনেছো মোরে ধরে,
বোতলে ভরিয়া দুধ খাওয়াতে জোর করে।
আমি না খাইলে তুমি খাওনি কভু আগে,
নিরালায় তোমার কথা ভাঙা অন্তরে জাগে।
ফুল তুলিতে কাঁটা ফুটলো যেদিন দুটো,
কোলেতে নিয়েছ তুলে কেঁদেছিলে কতো।
কত আদর করেছিলে আমার ছোট্ট ভাই,
তুমি আজ কতদূরে আমি আজ অসহায়।
( *** বিধির বিধান খণ্ডিবে, আছে সাধ্য কার? ***
*** সর্বশক্তির শেষ শক্তি, সেইতো নিরাকার *** )
No comments:
Post a Comment