Tuesday, 31 March 2015

ঘুম ভাঙা স্বপ্ন

ঘুম ভাঙা স্বপ্ন

আব্দুল মান্নান মল্লিক

রাত্রি পোহায়ে গেল, এক পশলার শেষে।
ঘরের বাহিরে যেন, নতুন সবুজের দেশে।।
আবরিত ছিলো ধূলোয়, নিখিল ভুবন।
ধুয়ে গেল বৃষ্টিতে, ফিরেছে পূর্ব যৌবন।।
চমকিছে পত্র সুচাগ্রে, জলবিন্দু শতরঙ্গে।
সোনালি রোদের ঝলক, মাখিয়া সর্বাঙ্গে।।
সবুজ পাতায় গাছ, শোভিত শিক্ত ফুলে।
বাধবী লতার মাথা, হেলিয়া বৃষ্টির জলে।।
ঝরিয়া পড়িছে পাতার, ধরে রাখার জল।
ঘুম ভাঙার স্বপ্নে, করেছে মোরে বিহ্বল।।
ভাঙিয়া অশথের ডাল, পড়িয়া রাস্তায়।
যাতায়াত করিয়া বন্ধ, অবরোধ অবস্থায়।।
চন্দন চন্দনা ডালে, আলাপ আলিঙ্গনে।
ডাহুক ডাহুকী ডাকে, লুকিয়ে কুঞ্জবনে।।
ডাকিছে দাদুর দাদুরী, খালের কিনারে।
মগডালে বসিয়া কাক, আপনার নীড়ে।।

Saturday, 28 March 2015

নিষ্ঠুর আহবান

নিষ্ঠুর আহবান

আব্দুল মান্নান মল্লিক

শৈশবে হারিয়ে মাতা ছিলো শুধু দিদি,
অকালে ছিনিয়ে নিলে নির্মম সেই বিধি।
সর্পাঘাতের জ্বালায় পীড়িত ছিলো দিদি,
বসে ছিনু দিদির পাশে অসহায় নিরবধি।
শান্তনা দিলো সবে আবার আসিবে ফিরে,
তাইতো বসিয়া আছি একা নদীর তীরে।
ঘুমন্ত দেহ তোমার ভাসিয়ে দিলো জলে,
সঙ্গীহীনে দিলে পাড়ি আমি কান্দি কুলে।
নদীতটে বসে আছি তোমার অপেক্ষায়,
কতদূরে রয়েছ তুমি অজানা ঠিকানায়।
পারিনা সহিতে আমি মোর কৃশ অন্তরে,
দেখিবারে নাই কেহ এই ধরনীর পরে।
হইতো আসিবে এবার দিবে মোরে দরশন,
প্রবাহী নদীপথে আমি নিরীক্ষিত সারাক্ষন।
কেমনে রয়েছ তুমি ভায়েরে গেছ ভুলে,
খন্ডিত অন্তর আমার জ্বলিছে দাবানলে।
ভাসিলে জলে তুমি আমি নয়নের নীরে,
দুজনের ব্যবধানে তুমি আজ কতদূরে।
জলাঘাতে বক্ষের তট খণ্ডিছে বার বার,
মুছাতে নাই কেহ দুই চোখের জলাধার।
ছলছল নয়নে চাহি ছিলে মোর পানে,
বলিবারে চাহিয়া কিছু  তুমি মোর সনে।
হাতটা বুলায়ে গায়ে বন্ধ করিলে চক্ষুপাতা,
সবকিছু কাড়িয়া নিল নিষ্ঠুর সেই বিধাতা।
দিয়েছিলে কালি চোখে টিপ দিয়ে ভালে,
চুম্বন দিয়া গালে তুলেছিলে প্রীতির কোলে।
ছুটিয়া পালাই যখন এনেছো মোরে ধরে,
বোতলে ভরিয়া দুধ খাওয়াতে জোর করে।
আমি না খাইলে তুমি খাওনি কভু আগে,
নিরালায় তোমার কথা ভাঙা অন্তরে জাগে।
ফুল তুলিতে কাঁটা ফুটলো যেদিন দুটো,
কোলেতে নিয়েছ তুলে কেঁদেছিলে কতো।
কত আদর করেছিলে আমার ছোট্ট ভাই,
তুমি আজ কতদূরে আমি আজ অসহায়।




( *** বিধির বিধান খণ্ডিবে, আছে সাধ্য কার?  ***
*** সর্বশক্তির শেষ শক্তি, সেইতো নিরাকার *** )

Friday, 20 March 2015

রাখিও স্বরণ

স্বরচিত কবিতা

রাখিও স্বরণ

হাওয়াতে পূর্ণ বেলুন কৃশ আবরণ।
স্বরণে রাখিও তারে ফাটিবে কখন।।
বিশ্বাস হীনেতে বেলুন  রহিলো বাঁধা।
পলকার্ধে ফাটিতে তার হইবেনা দ্বিধা।।
কেউবা খেলিছে বেলুন মাটির পিঞ্জরে।
খেলিছে নির্জনে কেউ কেউবা নিরাকারে।।
খুশিতে রাখিতে কেউ ধ্বনিত কাঁসরে।
কেউবা নিষ্ঠার সাথে দিনেতে পাঁচবারে।।
বাঁধিয়া রাখিছে মিলে তফাৎ বিহীনে।
সদাই ফুঁকিছে সবাই নিদ্রায় জাগরণে।।
বন্ধ হইবে একদিন ফুঁকের হাওয়া।
অপূর্ণ রহিবে সাধ ছিলো যত চাওয়া।।
মানুষে মানুষে তফাৎ নিজেদের স্বার্থ।
পৃথিবীতে চলতি পথে সঞ্চয়ের ব্যার্থ।।

Thursday, 19 March 2015

চাঁদের ছোঁয়ায়

 চাঁদের ছোঁয়ায়

আব্দুল মান্নান মল্লিক

পূর্নিমার চাঁদ ভাসে আলোকিত গগন।
নবজন্মে ধরণী যেন উল্লাসিত যৌবন।।
ঝিকিমিকি কিরণ জলুস পুকুর জলে।
রাতচরা বক বসে পাড়ের গাছ তলে।।
দূর হতে বহুদূর আরও অনেক দূরে।
চাঁদের খুকুরা হাসে মিটিমিটি করে।।
বিচ্ছিন্নে আছড়ে পড়ে  ধরণীর পরে।
তারকার কোল ছাড়ি পড়িছে অদূরে।।
ছিটিয়ে চাঁদের আলো টিনের চালায়।
প্রতিবিম্বে আলোকিত ঘরে জানালায়।।
খবর করিল বাতাস মৌমাছির কানে।
অধুনা সারিতে আসি পুষ্পবাগানে।।
রাতচরা মৌমাছি আসিয়া গোপনে।
বৃক্ষশাখায় গুঞ্জন ব্যাপৃত মধু-পানে।।
মায়ের কোলে শিশু খোলা বারান্দায়।
আদর সোহাগে শিশু জড়িয়ে গলায়।।
কখনো কেশের ছোঁয়া শিশুর কপালে।
সুড়সুড়করণে শিশু হাসিছে ব্যাকুলে।।
জোছনায় শোভিত বদন যেন চন্দ্রাঙ্গ।
ধরণীতে মিশিয়া চন্দ্র শিশুর সর্বাঙ্গ।।

Wednesday, 18 March 2015

মেঘে ঢাকা চাঁদ

মেঘে ঢাকা চাঁদ

আব্দুল মান্নান মল্লিক

নাগর নাগরী যেন নিম গাছের ডালে।
হুতুমের ডাক শুনি সন্ধ্যা নিশিকালে।।
কুলগাছ ভরে যায় জোনাকির আলোয়।
চমকিয়া বিজলী সম দীপ্তি জ্যোতির্ময়।।
মেঘে ঢাকা চাঁদের কণা কখনো বিলীন।
কিছু আলো কিছু আঁধার ধরণী রঙিন।।
বাদুড়ের বাঁদরামি শুরুতে সাঁঝের বেলা।
কর্কশ ধ্বনিতে উড়ে করে বিরক্ত জ্বালা।।
দূরের মাঠে কোথাও হাঁক পাড়ে শিয়াল।
খুকুমণির ঘুম ভাঙে মায়ের হয় বেহাল।।
বাতাসে দিয়েছে খবর রাতচরার কানে।
বিলম্বহীনে বাহির হইলো মউয়ের সন্ধানে।।
ছাতিনে ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা চরাচর।
গন্ধের সন্ধানে হাজির রাতচরা মধুকর।
ঝিনঝিনানি রবে মোর ঝাঁঝিয়ে ওঠে কান।
ঝিঁঝিপোকা চলেছে গেয়ে সুরবিহীনে গান।।

Friday, 13 March 2015

মাটির গাঁয়ে

মাটির গাঁয়ে

আব্দুল মান্নান মল্লিক

ধূলি ভরা রাস্তার গাঁয়ে কাদা মাটির ঘর,
আদুড়ে খেলিছে বালক ধুলোর উপর।
ভরিয়া খেলিছে ধুলো মাটির খোলায়,
কখনো ছড়িয়ে রাস্তায় কখনো মাথায়।
খড়ের ছাউনি ঘর কোথাও আছে টালি,
কোথাও ভাঙা বাড়ি পড়ে আছে খালি।
থাপ্পড়ের ছাপ কারো দেওয়ালের গায়,
ঘুটর-ঘুটরি চুমাচুমি রান্না ঘরের চালায়।
ঘোমটার মুখে বধূ মিশাই গোবর জল,
রান্না সারিয়া নিকায় উনুনের আঁচল।
বোঝাই গরুর গাড়ি ছেদি গাড়োয়ান,
হাঁকাইয়া ফিরিছে বাড়ি গাহিয়া গান।
বটবৃক্ষ ছায়াতলে কাঁচা বাশেঁর মাচা,
কেচ্ছার ভিড় জমায় প্রবীন রহিম চাচা।
বিদ্যাহীনে কেচ্ছার ঝুড়ি রহিম চাচার,
নিত্য নতুন কথা যোগায় বড় মজাদার।
রাস্তার ধারেতে ছেদির, মুদির দোকান,
বেচা কেনা করে আর খায় জর্দা-পান।
গড়িয়ে পড়িছে পিক, ঠোঁটের কোণে,
নিচ্ছে বেশী দিচ্ছে কম, দাঁড়ির ওজনে।
হুঁকা হাতে রাস্তা বেয়ে চলেছে কানাই,
দমেতে জ্বালিয়ে আগুন হুঁকার মাথায়।
গাঁয়েতে আসিয়া বেচে হরেক খেলনা,
আঁচল টানিয়া মায়ের ছেলেদের কান্না।
হাঁকিয়া চুড়ি ওয়ালা চুড়ি চায় ডাকে,
বধূরা মারিছে উঁকি জানালার ফাঁকে।
নুন-ঝুরি ডাক পাড়ে গাঁয়েতে কোথা,
চাল্ ধানের বাটি হাতে ছুটিছে সেথা।
ছেলেদের ভিড় জমে নুন-ঝুরির আশে,
মায়েরা দাঁড়ায় দূরে দেওয়ালের পাশে।
বিকেলের অবসানে ফিরে গরুর পাল,
পিছনে ঘুরিয়ে লাঠি ফিরিছে রাখাল।

Wednesday, 11 March 2015

√ হারানো দিন

হারানো দিন (প্রাপ্তি প্রকাশিত)

আব্দুল মান্নান মল্লিক

আবরিত সোনা মেঘে সূর্য গেছে ঢাকি,
কোথাও ফাটল পথে মারছে সূর্য উঁকি।
কাঁচা মাঠের সাথে দিগন্তে মিলিয়া গগন,
সূর্য শ্যামলে মত্তপ্রায় আদরের আলিঙ্গন।
ঝিরিঝিরি বহিছে সমীর ধানক্ষেতের পর,
বক্রতে দুলিছে গাছ স্বপ্নের ঘেরা মনোহর।
ক্ষেতপ্রান্তে প্রবাহী নদী আতঙ্ক অথৈ জল,
পাড়ের গাছে হৈচৈ রব পাখিদের কল্লোল।
নদী তীরে বসিয়া সারস বুনো হাঁস জলে,
কেউ করে তাড়া কারো ছুটোছুটি খেলে।
অন্নের সন্ধানে সারস চলেছে চুপিসারে,
ধীরপায়ে এগিয়ে চলে উঁচিয়ে গ্রীবারে।
প্রয়াসে বুনো হাঁস চলিছে উজান দিকে,
ঠেলিয়া তরঙ্গভার দুর্গম চলিছে নির্ভীকে।
ছুটিছে শৈবালের ঝাঁক ক্ষনিক অন্তরে,
হাঁসেরা লুকিয়ে ফাঁকে, পরমানন্দ করে।
হইয়া অবসন্ন কেহ উঠিয়া রয়েছে ডাঙায়,
সর্বাঙ্গ সিক্ত জলে ফেলিছে ঝাড়ি ডানায়।
উড়িয়া ফিরিছে কেহ মিলায়ে নীলাকাশ,
পরিশ্রান্ত রেহাইপ্রাপ্ত দিনান্তের অবকাশ।
ভাসিয়া যায় নদে কতকিছু চেনা অচেনা,
উন্মত্তে ছুটিয়া চলে জানা নাই ঠিকানা।
লহরীতে নাচে কিরণ মনোরম আলিঙ্গনে,
চুরিতে গিয়াছে হৃদয় স্বপ্নের এই ভূবনে।
অগোছালো হৃদয়কোণে হারানো সৃতি,
নিত্য হারিয়ে যায়, পারিনা করিতে ধৃতি।
 শৈশবের কালে দেখি কোথায় এই নদী,
আজও খুজিয়া ফিরি আবার দেখি যদি।

Sunday, 8 March 2015

স্বর্ণলতা

স্বর্ণলতা

আব্দুল মান্নান মল্লিক

স্বর্ণ-পুরী দেশের আখ্যান্ আছে সবার জানা,
দাঁতাল রাক্ষস তৈরী করে রাক্ষসের আস্তানা।
কাঞ্চন্ রাজার স্বর্ণ-পুরী সাজানো রাজসভা,
মায়া ঘেরা দেশটি ছিলো রাজার ছিল প্রভা।
স্বর্ণ দিয়ে মোড়ক বাঁধা দেশটি ছিল মজার,
স্বর্ণলতা নামটি ছিল একটি কন্যা রাজার।
দাঁতাল্ নামে ছিলো এক সর্দার রাক্ষস যেই,
চক্ষুতে তার অগ্নি ছুটে দেখলে আসে ধেয়।
দাঁত্ নয়তো অঙ্কুশ যেন নখ্ নয়তো আঁকড়া,
নোলা খানা রক্তবর্ণ লোমগুলো সব খাড়া।
মায়াবতী মাঠের পারে রূপকথার সেই দেশ,
রাজা প্রজা ছিলো যত করলো খেয়ে শেষ।
হীরা মানিক কাঞ্চন ভরা রাজ-কন্যার শোভন,
দুধে আলতায় গাত্র প্রকার সুন্দর ছিল বদন।
রাজকন্যার জনক্ ছিলেন এই দেশেরই রাজা,
দাঁতাল রাক্ষস করলো ভক্ষণ্ দিল মরণ্ সাজা।
যুগল বছর বয়স ছিলো রাজ-কন্যার যখন্,
জননী গেল উদর গর্ভে করে দাঁতাল্ ভক্ষণ্।
দুর্বল হয় রাজার গোষ্ঠী ছিলো যারা বাকি,
একে একে হারায় প্রাণ কন্যারে দিল রাখি।
রাজপ্রাসাদ শুন্য যখন দাঁতাল সাজে রাজা,
কোথা হতে আনছে ধরে খাচ্ছে মানুষ তাজা।
পালবে মানুষ রাজকন্যারে তুলে নিল কোলে,
রাক্ষস গোষ্ঠী সবে মিলে সোহাগে গড়ে তুলে।
আঠারো বছর পূরণ্ হল রাজ-কন্যার যখন্,
বুঝতে পেরে ফন্দি বাঁধে করবে রাক্ষস নিধন্।
স্বর্ণ-পিঞ্জর পাখির ভিতর্ রাক্ষস প্রাণ বর্তমান,
নিধন্ পাখি হলে তবে রাক্ষস গোষ্ঠীর অবসান।
রাক্ষসেরা শিকারে বেরোয় রাত বারটার পরে,
স্বর্ণলতা ভাঙলো পিঞ্জর আনলো পাখি ধরে।
মোচড় দিয়ে মারলো পাখি পড়লে রক্ত ঝরে,
ছিলো যত বাড়বে দ্বিগুণ চতুরে নিধন্ করে।
যেথায় ছিলো মরলো সেথায় রাক্ষস কুল সবে,
আছে কোথা রাজা প্রজা তাদের বাঁচাতে হবে।
দাঁতাল মূর্তি পাথর রূপে ঘরের কোণে ছিলো,
পাখির রক্তে মূর্তি চরণ সিক্ত করিয়ে দিলো।
মূর্তি হইতে বেরিয়ে আসে রাজা প্রজা যত,
স্বর্ণ-পুরী যেমন ছিলো ফিরলো আগের মত।
স্বর্ণলতার নামে পুজো চলেছে আজ সেথা
অনেক কষ্ট সহনশীলে ঘুচাই সবার ব্যথা।

Friday, 6 March 2015

বঙ্গ রঙ্গ


************* স্বরচিত কবিতা *************

>>>>>>>>>> বঙ্গ রঙ্গ <<<<<<<<<<<

মত্ত হল রঙের সাজে আকাশ হল রঙিন।
বালক জোয়ান ছিল যত রঙ মাখে প্রবীণ।।
রঙের ছোঁয়ায় রঙিন পথে মানুষ চেনা ভার।
ছাদের পরে মায়েরা ভাবে কোন ছেলেটি কার?
ছুটা-ছুটি পাড়ার ছেলে ফিনকিতে রঙ ভরে।
দেখতে পেলে কেউ কাহারে পিছে তাড়া করে।।
কানাই দাদু বেরিয়ে দেখে রঙের ডালা হাতে।
জুটলো যত পাড়ার ছেলে চৌ-রাস্তার মাথে।।
আবির ছড়িয়ে নাচা-নাচি ভরিয়ে দিলো রঙে।
যোগে সামিল কানাই দাদু নাচে নানান ঢঙে।।
ধবল পোষাক হাতে লাঠি যাবে বিয়াই বাড়ি।
বলাই দাদু চলেছে তাই হাতে মিঠাই হাঁড়ি।।
ছেলেরা সবে যুক্তি করে বলাই দাদুরে ধরে।
রঙ ছিটিয়ে দিল গায়ে ছেলেরা জোর করে।।
বলাই দাদুর কোপের মুর্তি ধরে গায়ে জ্বালা।
ছোকরা যত দাদুর মাথে ঢালে আবীর ডালা।।
রাগের চোটে ঘোরাই লাঠি চক্ষু করে লাল।
নিজের হাতে ভাঙে হাঁড়ি দিচ্ছে শুধু গাল।।
শ্যামল রঙটা হারিয়ে হয় গাছের পাতা নীল।
রঙের ছিটাই রঙিন হয় যায়না চেনা বিল।।
হচ্ছে খেলা বিশ্ব জুড়ে রঙের খেলা আজ।
বাংলার রঙে বিশ্ব রঙিন নব রঙের সাজ।।